এক নজরে পাট অধিদপ্তর
১. পাট অধিদপ্তরের গঠন ইতিহাসঃ
১৯৯২ সালে তৎকালীন পাট পরিদপ্তর ও পাটপণ্য পরিদর্শন পরিদপ্তর একীভূত হয়ে পাট অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের পাট উৎপাদন প্রবণ ৪২ টি জেলায় পাট অধিদপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
২. পাট অধিদপ্তরের উল্লেখযোগ্য কার্যাবলীঃ
- পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন;
- পাট আইন-২০১৭ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন;
- জাতীয় পাটনীতি-২০১৮ বাস্তবায়ন;
- পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবসার লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন;
- পাট ও পাটপণ্য উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, রপ্তানি ও রপ্তানি আয়ের যাবতীয় তথ্যাদি সংগ্রহ ও সমন্বিত প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণ;
- পাট চাষের উন্নয়ন, প্রসার, গবেষণা ;
- স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে পাট ও পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ;
- পাট চাষের জন্য ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন ;
- বহুমুখী পাটজাত পণ্যের গবেষণা, উদ্ভাবন ;
- পাট চাষীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ ;
- পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি, বাজার সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় প্রণোদনা Ges পুরষ্কার cÖ`vb বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণ;
- পাটকলসমুহে উৎপাদন পর্যায়ে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ, পণ্যের মান নিশ্চিতকরণ এবং পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান;
- পাট ব্যবসায়ের অনিয়ম ও অসাধুতা রোধ;
- পাট ও পাটজাত দ্রব্যের মান নিয়ন্ত্রণ এবং
- “উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ” শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন।
৩. পাট অধিদপ্তরের জনবলঃ অনুমোদিত পদ - ৬০৪ টি;
৪. সহকারী পরিচালক এর আঞ্চলিক অফিস-১৮টিঃ
- সহকারী পরিচালক (পাট)-১০টি : নারায়নগঞ্জ, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, যশোর, খুলনা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম
- সহকারী পরিচালক (পণ্য)-০৫টি : ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ জোন, ডেমরা-কাঞ্চন জোন, নরসিংদী জোন, চট্টগ্রাম জোন, খুলনা জোন
- সহকারী পরিচালক (পাট পণ্য পরীক্ষাগার)-০৩টি : নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, চট্টগ্রাম
৫. মুখ্য পরিদর্শকের অফিসসমূহ (৪২টি) :
চট্টগ্রাম, নরসিংদী, নেত্রকোণা, পঞ্চগড়, পাবনা, খুলনা(মংলা), চৌমুহনী, ঢাকা, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, সিরাজগঞ্জ, দৌলতপুর, কুমিল্লা , গাজীপুর, নীলফামারী, বগুড়া, যশোর, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, টাংগাইল, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট, চুয়াডাংগা, ফরিদপুর, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, মাদারীপুর, জামালপুর, লালমনিরহাট, নওগাঁ, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ, নারায়নগঞ্জ(উত্তর), নারায়নগঞ্জ(দক্ষিণ), কিশোরগঞ্জ, দিনাজপুর, নাটোর, মাগুরা, বরিশাল ।
৬. ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সম্পাদিত কার্যক্রমের পরিসংখ্যান :
- লাইসেন্স ইস্যু – ৫৫৫৯ টি, নবায়ন – ১০৯১৫ টি ;
- পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক আইন, ২০১০ এর আওতায় পরিচালিত মোবাইল কোর্টের সংখ্যা – ১০৪৩ টি ;
- কাঁচা পাট উৎপাদন – ৯৩.১০ লক্ষ বেল ;
- পাটজাত পণ্য উৎপাদন – ১০.২৯ লক্ষ মে: টন ;
- কাঁচা পাট রপ্তানির পরিমান – ১২.৯৭ লক্ষ বেল ;
- পাটজাত পণ্য রপ্তানির পরিমান – ৮.২৭ লক্ষ মে: টন ;
- পাটজাত পণ্যের নমুনা পরীক্ষণ – 2071টি ;
- পাটকল পরিদর্শণ - 1238 টি
৭. ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে পাটখাত সংশ্লিষ্ট আয় সংক্রান্ত পরিসংখ্যান :
- মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় জরিমানা আদায় - ৬৩.৪২ লক্ষ টাকা ;
- লাইসেন্স বাবদ রাজস্ব আয় – ৪.৫৯ কোটি টাকা ;
- কর ব্যতীত রাজস্ব আয় – ১০২৮.৯৪ লক্ষ টাকা ;
- কাঁচা পাট রপ্তানি – ১২২৫.৫৫ কোটি টাকা ;
- পাটজাত পণ্য রপ্তানি – ৬৮০১.৫৭ কোটি টাকা ;
৮. পাট অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের সার-সংক্ষেপ :
প্রকল্পের শিরোনাম
|
:
|
উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ
|
উদ্যোগী মন্ত্রণালয়
|
:
|
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়
|
বাস্তবায়কারী সংস্থা
|
:
|
পাট অধিদপ্তর
|
বাস্তবায়নকাল
|
:
|
জুলাই, ২০১৮ হতে মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত
|
প্রাক্কলিত ব্যয়
|
:
|
মোট জিওবি - ৩৭৬৪৬.৭৪ লক্ষ টাকা
|
একনেক সভায় অনুমোদন
|
:
|
২৯/০৫/২০১৮ খ্রি:
|
প্রাক্কলিত ব্যয়
|
:
|
৩৭৬৪৬.৭৪ লক্ষ টাকা
|
মোট জনবল
|
|
৫৪৩ জন
|
প্রকল্প এলাকা
|
:
|
- পাট উৎপাদন - ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলা
-
- পাটবীজ উৎপাদন - ৩৬টি জেলার ১৫০টি উপজেলা
-
- পাট পচন - ২৮টি জেলার ১০০টি উপজেলা
|
প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা
|
:
|
- জাতীয় চাহিদাপূরণের জন্য পাট ও পাটবীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ক উন্নত প্রযুক্তির সম্প্রসারণ করা;
-
- প্রকল্প মেয়াদে ৭৫,০০০ জন কৃষকের ১৫১৮০ হেক্টর জমিতে ৭৫০০ মেঃ টন উচ্চফলনশীল পাটবীজ উৎপাদন এবং নিম্নমানের পাটবীজের স্থলে উফশী পাটবীজ প্রতিস্থাপন করা;
-
- প্রকল্প মেয়াদে ৬,৯০,০০০ জন কৃষক ৪৬০৯৩০ হেক্টর জমিতে ৭০.৮৬০- ৮২.৬৬৫ লক্ষ বেল মানসম্মত তোষা পাট উৎপাদন করা;
-
- পরিমানগত ও গুণগতমান উন্নয়নের মাধ্যমে সার্বিকভাবে পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি করা;
-
- উন্নত পদ্ধতি ও কলাকৌশল অবলম্বন করে পাটবীজ উৎপাদনে ৭৫০০০ জন এবং মানসম্মত পাট উৎপাদনে ৩৪৫০০০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা;
-
- বীজ উৎপাদনকারী কৃষকদের নিকট থেকে পর্যায়ক্রমে মোট ১০০০ মেঃটন প্রত্যয়িত বীজ অথবা টিএলএস বীজ ক্রয় করা এবংপাট উৎপাদনকারী কৃষকদের মাঝে তা বিতরণ করা;
|
প্রকল্পের আওতায় করণীয় কাজ :
|
|
- জনবল নিয়োগ;
-
- ২৩০ টি অফিস স্থাপন;
-
- পাট ও পাটবীজ উৎপাদনের জন্য স্বতন্ত্র কৃষক নির্বাচন ও ডাটাবেজ প্রস্তুতকরণ;
-
- কর্মকর্তা/কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ও কৃষক প্রশিক্ষণ;
-
- অফিস আসবাবপত্র, সরঞ্জাম ও উপকরণাদি ক্রয়;
-
- উপকরণ এবং যন্ত্রপাতিসমূহ সরবরাহ ও বিতরণ।
|
৮. পাট অধিদপ্তরের উল্লেখযোগ্য অর্জন :
- পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ প্রায় শতভাগ বাস্তবায়নের ফলে পাটজাত পণ্যের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে বন্ধ পাটকলগুলো আবার চালু হচ্ছে, নতুন নতুন পাটকল স্থাপন হচেছ, পাটজাত পণ্যের হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে এবং সর্বোপরি কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে;
- পাট আইন-২০১৭ বাস্তবায়নের ফলে পাটখাতের সার্বিক উন্নতি পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ;
- ৩টি পাটপণ্য পরীক্ষাগারের মাধ্যমে পাটপণ্যের নমুনা পরীক্ষণের ফলে মানসম্মত পাটপণ্য উৎপাদন হচ্ছে;
- ৫টি পরিদর্শন জোন কার্যালয়ের মাধ্যমে নিয়মিত পাটকল পরিদর্শন করে রিপোর্ট প্রদানের কারণে পাটপণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে;
- পাটখাতের উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে প্রতি বছর ৬ মার্চ জাতীয় পাট দিবস উদযাপন করা হচ্ছে;
- দেশের ৪২টি পাট উৎপাদন প্রবন জেলায় ১৯,৯৮৫ জন পাটচাষীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতির পাট চাষের কলাকৌশল সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে;
- প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে পাট অধিদপ্তরের ৩০৬ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীর দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে;
- পাটজাত পণ্যের গবেষণার লক্ষ্যে “বাংলাদেশ জুট গুডস রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট” শীর্ষক প্রকল্প প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে;
- দেশের ৬৪ জেলায় পাট ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে;
-
- কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরী করা হয়েছে।
৯. ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য পাট অধিদপ্তরের কার্যক্রম :
- “ডিজিটাল সার্ভিস বাস্তবায়ন রোডম্যাপ-২০২১”-শীর্ষক প্রকল্পের সাথে সংযুক্ত;
- ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম প্রবর্তন;
- অন-লাইন লাইসেন্সিং সিস্টেম প্রবর্তন;
- বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি প্রবর্তন;
- নিজস্ব ওয়েবসাইট নির্মাণ;
- দাপ্তরিক ফেসবুক পেজ চালুকরণ;
- ই-ফাইল সিষ্টেম চালুকরণ;
- কর্মকর্তা/কর্মচারীদের ডাটাবেইজ (PDS) তৈরিকরণ;
- সিসি ক্যামেরা স্থাপন; এবং
- সরকারি ক্রয় কার্যক্রম ই-জিপি সিষ্টেমে সম্পন্নকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ ।
১০. সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ
সমস্যা :
- অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও মাঠ পর্যায়ের নিজস্ব অফিস ভবন নেই ;
- অধিদপ্তরের অর্গানোগ্রামে মাঠ পর্যায়ে ২২ টি জেলায় কোন অফিস/পদ নেই ;
- প্রয়োজনের তুলনায় জনবলের স্বল্পতা এবং
- সমাপ্ত প্রকল্পের জনবল আত্মীকরণে জটিলতা ।
চ্যালেঞ্জ :
- জনবলের স্বল্পতা থাকা সত্বেও পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ শতভাগ বাস্তবায়ন;
- প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সময়োপযোগী ও দক্ষ জনবল তৈরী;
- অনলাইনে লাইসেন্স প্রদানসহ পাট অধিদপ্তরের সেবাসমূহ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা;
- ডেমরা-ঢাকা, চট্রগ্রাম এবং খুলনা পাটপণ্য পরীক্ষাগার সংস্কার করা ;
- মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পদ উন্নীতকরণ এবং
- মাঠ পর্যায়ে সকল জেলায় পাট অধিদপ্তরের অফিস প্রতিষ্ঠ/পদ সৃজন ।
১১. চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের কর্মপরিকল্পনা
- জনবল নিয়োগের মাধ্যমে অধিদপ্তরের শূণ্য পদ পূরণ করা;
- প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি করা ;
- সেবা সহজীকরণের নিমিত্ত চালুকৃত অনলাইন লাইসেন্সিং ব্যাপক সম্প্রসারণ করা ;
- শতভাগ ই-নথি ও ই-জিপি চালু করা এবং
- অবশিষ্ট (২২ টি) জেলাসমূহে পাট অধিদপ্তরের অফিস ও পদ সৃজনের উদ্যোগ গ্রহণ ।